শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মুন সিনেমার জমি ১০ নভেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার নির্দেশ

মুন সিনেমার জমি ১০ নভেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার নির্দেশ

স্বদেশ ডেস্ক:

ঢাকার ওয়াইজঘাটে মুন সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনা ১০ নভেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দিয়ে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মুন সিনেমা হলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ ৩০ জুনের মধ্যে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪ টাকা ২৭ পয়সা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় সরকার টাকা দেয়া থেকে বিরত থাকে। শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষের সমঝোতার পর আপিল বিভাগ জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে নির্দেশ দেন।

ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম ছিলেন মুন সিনেমা হলের মালিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে মালিকানা দাবি করে মাকসুদুল আলম আদালতের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টে রায় পক্ষে যাওয়ার পর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে তা বহাল রাখেন। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মুন সিনেমা হল বাংলাদেশ ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডকে ফেরত দেয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত আপিল বিভাগের দেয়া রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হল মূল মালিককে ফেরতের নির্দেশ দেন। কিন্তু ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুন সিনেমা হলের মালিক মাকসুদুল আলম তার জমি না পেয়ে ২০১২ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মুন সিনেমা হল আগের অবস্থায় ফেরত দেয়ার কোনো উপায় নেই। এখন মুন সিনেমা হলের জমির মূল্য ও মুন সিনেমা হলের মূল স্ট্রাকচারের (কাঠামো) মূল্য ধরে এর মালিক ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। এরপর ২০১৭ সালে আদালত মুন সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দেন।

সে অনুসারে মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হয়। পরে আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে ক্ষতিপূরণসহ ভবন ও জমির মূল্য বাবদ ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪ টাকা ২৭ পয়সা পরিশোধ করতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877